
ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসায় অটোরিকশার চার্জার বিস্ফোরণের ঘটনায় স্ত্রীর পর মারা গেলেন স্বামী আব্দুল মতিন (৪০)। তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন।
শনিবার (১০ জুলাই) সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, সকালে আবব্দুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী ময়না ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের দুই মেয়ে আয়শা ৪৬ শতাংশ ও মায়শা ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। ১৮ শতাংশ দগ্ধ রায়হানকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভোর চারটার দিকে আহসানবাগ সিলেটি বাজার কাজি গলিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দগ্ধ হন অটোরিকশা চালক আব্দুল মতিন (৪০), তার স্ত্রী গৃহিণী ইসয়াসমিন আক্তার ময়না (৩৫), দুই মেয়ে আয়শা (৬) ও মায়শা (১০), এবং ময়নার ভাগিনা আবুল খায়ের রায়হান (২৫)।
দগ্ধ রায়হান জানান, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করেন। ওই বাসায় তার মা থাকলেও তিনি অন্যখানে থাকেন। গতরাতেই তিনি ওই বাসায় মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। রাতে মতিনের পরিবারের পাশের রুমে ছিলেন তিনি। শুক্রবার ভোরে যখন তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট শব্দে একটা বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে গেলে চারদিকে আগুন দেখতে পান তিনি। বিস্ফোরণে রুমের দরজাও ভেঙে গেছে। পরে তারা দৌড়ে বাসার বাইরে চলে যান। তবে এর আগেই তাদের শরীর পুড়ে যায়।
তিনি বলেন, মতিন প্রতিদিন বাসাতেই অটোরিকশা চার্জ করতেন। অটোরিকশাটি বাসার বাইরে রেখে তার চার্জার রুমের ভিতরে বিদ্যুতের সঙ্গে সংযোগ করতেন। সেই চার্জার থেকেই ভোরে বিস্ফোরণে এই দগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে কখনও ওই বাসায় এই রকম ঘটনা ঘটেনি।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মতিনের শ্যালক মো. মাসুম জানান, খবর পেয়ে ভোরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রায়হান ছাড়া বাকি চারজনের অবস্থায় গুরুতর ছিল। বড় মেয়েটি একটি মাদ্রাসায় পড়তো। তাদের বাড়ি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে।
The post অটোরিকশার চার্জার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ত্রীর পর স্বামীর মৃত্যু appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.
Thank you to read this post.
0 Comments