Ticker

6/recent/ticker-posts

Advertisement

এর বেশি কিছুই করার ছিল না: হ্যারি কেইন

গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড। আর এর পেছনে বড় অবদান অধিনায়ক হ্যারি কেইনের। টুর্নামেন্ট জুড়ে করেছেন চারটি গোল। ফাইনালের টাইব্রেকারে নিজের কাজটাও সেরেছিলেন বল জালে জড়িয়ে। তবে ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডনারুমের দুর্দান্ত সেভে ইংলিশদের কাঁদিয়ে শিরোপা জেতে আজ্জুরিরা। আর টাইব্রেকারে এমন হারের পর ইংলিশ অধিনায়ক কেইন জানালেন, এর বেশি কিছুই করার ছিল না। আজ্জুরিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শুরুতেই ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। তবে শেষ পর্যন্ত ইতালি সমতায় ফেরে। আর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারের পর ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন দলের সকলের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন দিয়েছেন, সেই সঙ্গে গেয়েছেন নিজের সাফাই। হ্যারি কেইন বলেন, 'আমি এর থেকে বেশি কিছু করতে পারতাম না। দলের বাকিদেরও এর থেকে বেশি কিছুই করার ছিল না। পেনাল্টিতে হারটা সবচেয়ে কষ্টকর।' ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সমতাতেই খেলা শেষ করে ইংলিশরা। এরপর টাইব্রেকারে সেভ করে ইংলিশদের এগিয়ে নেন পিকফোর্ড। তবে শেষ পর্যন্ত আর জেতা হয়নি। তাই তো আক্ষেপের সুরে কেইন বলেন, 'এটা আমাদের রাত ছিল না। আমরা দারুণ একটি টুর্নামেন্ট কাটালাম। আমরা আমাদের মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়ছি কিন্তু হারটা অনেক কষ্ট দিচ্ছে। এটা অনেকদিন ধরেই কষ্ট দিবে। কিন্তু আশা করি আমরা সামনের বছর আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরব।' ৫৫ বছর আগে ওয়েম্বলির এই টার্ফেই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইংলিশরা। ফুটবলের জন্মভূমি হওয়া স্বত্ত্বেও মেজর কোনো টুর্নামেন্টের সাফল্য আর আসেনি ইংলিশদের। আর না পাওয়ার গ্লানি ইংলিশদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল বহুদিন ধরে। ৫৫ বছর পরে এসে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জিতলেই মুক্ত হতে পারতো সেই গ্লানি থেকে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। আর প্রথমবারেই ইতালির কাছে পরাস্ত ইংলিশরা। টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে এসে বল জালে পাঠান ডমেনিকো বেরার্দি। এরপর ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন জালে বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরান ইংলিশদের। এরপর আন্দ্রেয়া বেলোত্তির শট রুখে দিয়ে ইংলিশদের এগিয়ে নেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। পরের শটে গোল করে ইংলিশদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন হ্যারি মাগুয়ের। ইতালির হয়ে তৃতীয় শট নিতে এসে গোল করেন লেওনার্দো বনুচ্চি। পরের শট নিতে এসে বল গোলপোস্টে মারেন মার্কাশ রাশফোর্ড। চতুর্থ শটে ইতালির হয়ে বার্নার্দেস্কি গোল করলে ইতালি এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে। ইংলিশদের চতুর্থ শট নিতে আসা জডান সানচোর শট রুখে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক ডনারুমা। ইতালির পঞ্চম শট নিতে আসা জর্জিনহোর শট রুখে ইংলিশদের শিরোপা স্বপ্ন ধরে রাখেন পিকফোর্ড। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ শট নিতে আসা বুকায়ো সাকাকে দুই হাত দিয়ে রুখে দেন ডনারুমা। আর তাতেই ৫৩ বছর পর ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল ইতালি। এর আগে ওয়েম্বলিতে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসা ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় গোল করে ইংলিশদের লিড এনে দেন লুক শ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭তম মিনিটে লেওনার্দো বনুচ্চির গোলে সমতায় ফেরে আজ্জুরিরা। ম্যাচের বাকি সময় দুই দলই গোলের চেষ্টা করলেও আর লিড নিতে পারেনি কেউই। আর নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের মীমাংসা হয় টাইব্রেকারে। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে যেন একটু বেশিই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল ইংলিশরা। আর সেটারই সুযোগ নিয়েছে আজ্জুরিরা। শুরুটা দারুণ করেছিল ইংল্যান্ড। এ ব্যাপারে কেইন বলেন, 'আমরা দারুণ একটা দলের বিপক্ষে খেলছিলাম। আর ম্যাচে আমরা শুরুটাও করেছিলাম দারুণ। আমরা একটু বেশিই নিচে নেমে খেলছিলাম। তারা বলের দখলে বেশি ছিল কিন্তু তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু সেট-পিস থেকে তারা ৫০-৫০ সুযোগ তৈরি করে আর সেখান থেকে সমতায় ফেরে। অতিরিক্ত সময়েও আমরা দারুণ খেলেছি, কয়েকটি সুযোগ তৈরিও করেছিলাম। এরপর পেনাল্টি তো পেনাল্টিই। আসলে এটা আমাদের রাত ছিল না। দলের সবার এর থেকে বেশি আর কিছুই দেওয়ার ছিল না।'

The post এর বেশি কিছুই করার ছিল না: হ্যারি কেইন appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.



Thank you to read this post.

Post a Comment

0 Comments